জাহিদ- হাহ! আচ্ছা তাহলে কি করা এখন?
ফিমা- কি করা!
ফাহিম- কিরে! তুই এখানে কেন? তুই না বউ! বউ কি এভাবে ঘুরে বেড়ায়! যাহ ওখানে গিয়ে বস। *ফিমাকে*
ফিমা মুখটা ছোট করে চলে যায়। ফাহিমকে দেখে রাহি একদম চুপ হয়ে যায়। এক্সপ্রেশানলেস একটা ফেস করে থাকে। ফাহিম একবার রাহির দিকে তাকিয়ে আবার জাহিদের দিকে তাকায়।
ফাহিম- জান্নাত কোথায়?
জাহিদ- জানি না।
ফাহিম- ওহ তোমরা কেউ জানো?
রাহি আর তানিয়া দু'জন মাথা নাড়ে একসাথে। মাথা নেড়ে না বুঝায়।
তখনই আসে তানভীর-জান্নাত। ওদেরকে একসাথে আসতে দেখে জাহিদ ছোট ছোট চোখ করে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায়। ফাহিম স্বাভাবিক ভাবেই থাকে যেনো ও আগে থেকেই জানতো।
তানভীর- কি ব্যাপার! সবাই এভাবে তাকিয়ে আছো কেন! মনে হচ্ছে আমি একজন ক্রিমিনাল। হাহা।
জাহিদ- ক্রিমিনালই তো। বন্ধুরে ভুইলা ওই বান্দরনীরে নিয়া কই থাইকা আসতাছোস! *তানভীরের ঘারে এক হাত রেখে*
তানভীর- আরে ছাড়। তোরে ভুলসি কবে! আর তোর বইন ছবি তুলতো। তাই তো গেলাম।
জান্নাত হা করে তাকিয়ে থাকে তানভীরের কথায়। জান্নাত ভাবছে সে কখন বললো। জান্নাত রাহির দিকে তাকায়। রাহি দাঁত কেলিয়ে জান্নাতের দিকেই তাকিয়ে ছিলো। ফাহিম জান্নাতের দিকে তাকায়।
জাহিদ- আচ্ছা বুঝলাম।এখন চল আমাদের সবার ছবি তোল।
জাহিদ দাঁড়ায় ফাহিমকে পাশে রেখে। এরপর রাহি দাঁড়িয়েই ছিলো। তারপাশে জান্নাত পরে তানিয়া। রাহি সরে আসতে চাইলে জান্নাত হাত ধরে রাখে।
তানভীর- বাহ। সবাই আছো আমি নাই?
জাহিদ- তুই আসলে তুলবে কে?
তানভীর- ওই ভাইয়া! *একজনকে ডেকে* ফাহিমের আত্মীয়। ছেলেটি আসে।
তানভীর-একটা ছবি তুলে দিবেন?
ছেলেটি ক্যামেরা নেয়। তানভীর দাঁড়ায় জাহিদের অন্যপাশে। সবাই একসাথে ছবি তুলে অন্য জায়গায় দাঁড়ায়। জান্নাত যেতে নিলে তানভীর বলে- দাঁড়াও।
পর্বঃ২৩
Start from the beginning