পড়ালেখার আগ্রহ ছিল তার খুব। স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে যেতে ভীষণ ইচ্ছে করতো তার। বড় হয়ে এই সাহেবদের মত স্যুট-টাই পরে ট্রেনের যাত্রী হয়ে ভ্রমণ করা ছিল তার একমাত্র ল ক্ষ্য।
কিন্তু যেদিন জলিল ভাইকে তার পড়ালেখার ইচ্ছের কথাটা জানায় সেদিনই তার লক্ষ্য তছনছ করে ভেঙে যায়।
"রাস্তার ছেলের আবার সাধ কত! সে পড়ালেখা করতে চায়! বড় হয়ে কি সাহেব হবি নাকি তুই? তোকে যে থাকতে দিচ্ছি এতেই শুকরিয়া আদায় কর, তোর স্থান তো আঁস্তাকুড়ে।" জলিল ভাইয়ের এই উক্তি আজও তার কানে সুঁচের মত বিঁধে। এর জন্য যে কত মারও খেয়েছিল তাও তার মনের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে।
অবশ্য সে ভুল কিছু বলেনি, তার মতো রাস্তার ছেলের স্বপ্ন দেখতে নেই। কারণ তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, নেই জীবনের মূল্য।