দিন টা ছিল 31.07.2019 সকাল সকাল ট্রেন NJP স্টেশনে ঢুকলো। আমি আর সুমন (বর্তমানে জলপাইগুড়িতে পোস্টেড), ওভার ব্রিজ থেকে নামতে না নামতেই ট্যাক্সি ড্রাইভার দের চিৎকার দার্জিলিং, গ্যাংটক, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, আলিপুর, পানিটাঙ্কি, ফুন্সিলিং নর্থ বেঙ্গলের এমন কোন জায়গার নাম নেই যেটা এখানে শুনতে পাবেন না। কেউ কেউ আবার আবেগের বসে নেপাল, ভুটান ও বলে ফেলল।
স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে "নিউ জলপাইগুড়ি" লেখাটার সামনে একটা কমপ্লিমেন্টারি সেলফি তুলে টোটো স্ট্যান্ডের দিকে গেলাম, উদ্দেশ্য সুমন কে বাসে তুলে দিয়ে দার্জিলিং এর পথে রওনা দেওয়া।
কোথায় যাবেন, জংশন, মেডিকেল, মাটিগাড়া চম্পাসরী...?
- জলপাইগুড়ি যাব, যাবেন ?
- এখান থেকে কিচ্ছু পাবেন না, তিনবাত্তি মোড় থেকে বাস পাবেন, 300/- টাকা ভাড়া লাগবে।
- সঙ্গে সঙ্গে গুগুল করে দেখলাম মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা ভাড়া নেবে তিনসো টাকা !!!
- সুমন ভাই তোকে আর জলপাইগুড়ি যেতে হবে না ওই টাকায় দার্জিলিং পৌঁছে যাবো তো !!
- সামনে একটা খালি টোটো মোট 100/- টাকায় তারপর আমাদের তিনবাত্তি মোড়ে নামিয়ে দিল।
- বাসে তুলে সুমনকে বললাম তুই ট্রেনের টিকিট কেটে রাখিস আবার একসাথে ফিরব।তিনবাত্তি পর্যন্ত অন্তত পরিচিত কেউ না কেউ ছিল! এবার তো কেউই নেই! তিনবাত্তি থেকে টোটো ধরে কোর্ট মোড়ে এসে পৌছালাম, উদ্দেশ্য সঙ্গের লাগেজ গুলো কোথাও রাখা।
নতুন অফিসে জাস্ট ঢুকতে যাব পিছন থেকে চিৎকার-
- " অ্যাই কে আপনি ?
- কোথায় যাচ্ছেন ?
- কাকে চাই ? "
- আজ্ঞে আমি Madan এর সাথে দেখা করতাম
- ওহ মদন বাবুর সাথে দেখা করবেন! উনি তো এইমাত্র বেরোলেন। ডানদিকে দোতলায় ওনার ঘরে চলে যান।
- অফিসে ঢোকার আগে পারমিশন নিতে হবে তো ! বলা নেই কওয়া নেই ঢুকে গেলেই হলো !! অফিসের একটা সিস্টেম আছে তো !! তালপাতার সেপাই হতে পারে কিন্ত ঝাঁঝে পুরো ধানী লঙ্কা।কোর্ট মোড়ে একটু ফ্রেশ হয়ে জংশন থেকে এবার দার্জিলিং এর শেয়ার গাড়িতে উঠে পড়লাম। ফ্রন্ট-সিট থেকে সামনের অসাধারণ ভিউ সঙ্গে প্রথম বার দার্জিলিং যাওয়ার আনন্দ, পুরো এক্সাইটিং ব্যাপার স্যাপার....