অধ্যায় ১

106 5 0
                                    

আরাভি ঘুমোচ্ছে। সকাল আট টা বাজে। নয় টার দিকে তার অনলাইন ক্লাস। তাই তার মা তাকে ডাকতে এসেছে।
মা : আরাভি। আরাভি উঠ। আর কতক্ষণ ঘুমাবি ?
আরাভি : মা প্লিজ মা। আরেকটু ঘুমাই প্লিজ!
আরাভি র মা জানত যে আরাভি সারা রাত পড়াশুনা করেছে। তাই সে আরাভি কে আর কিছু বলল না। আরাভি ঠিক সাড়ে আট টার দিকে নিজে নিজে ই উঠে গেলো। সে ফ্রেশ হয়ে ক্লাস এর জন্য বসে গেলো। ক্লাস করতে করতেই হঠাৎ তার মনে পড়লো এটা তার শেষ অনলাইন ক্লাস। আজ ই তারা অন্য বাসায় শিফট করবে। নিজেদের ফ্ল্যাট। তারা যে বিল্ডিং এ যাবে সেখানে আরাভির বেস্ট ফ্রেন্ড ফ্রেয়া ও উঠেছে কাল। ও এটা ত বলাই হয় নি যে আরাভি আর ফ্রেয়া দুজন বেস্ট ফ্রেন্ডস। পুরো দুনিয়া ওলটপালট হোয়ে গেলেও তাদের ফ্রেন্ডশিপ ভাঙবে না। তারা ডিসাইড করেছে তারা যখন নিজেদের ফ্ল্যাট এ উঠবে তখন দুজনের রুমদুজন মিলে সাজাবে। এবার অ্যাটলাস্ট সেই সুযোগ টা এসেছে। আরাভি র ক্লাস আজ ১১ তার মধ্যে শেষ হয়ে গেলো। তার মা বললো গাড়ি চলে এসেছে। তাদের রওনা দিতে হবে। তাদের আরো আগে নতুন ফ্ল্যাট এ যাবার কথা ছিল। কিন্তু এই করোনা ভাইরাস এর মহামারীর জন্য তারা যেতে পারেনি। সবাই গাড়িতে উঠে পরেছে। গাড়ির ড্রাইভার ও তাদের চেনা। সে আরাভি কে দেখে চমকে উঠে। অবশ্য চমকে উঠার যথেষ্ট কারণ ও ছিল
আরাভি নিজের জ্যাকেট টা কোমরে বেধে গাড়িতে উঠে বসলো। তাদের ডেস্টিনেশন এ যেতে বেশি টাইম লাগলো না। গাড়ি থেকে নামতেই আরাভি খেয়াল করলো ছাদ এ করা যেনো ক্রিকেট খেলেছে। সে তাতে বেশি পাত্তা দিল না। সে গাড়ি থেকে লাগেজ নামাতে হেল্প করছিল সবাইকে। হঠাৎ একটা মেয়ে বাঁদরের মত করে এসে আরাভির ঘারের উপর পড়লো। আরাভির বুঝতে বাকি রইলো না যে ঐটা ফ্রেয়া। ফ্রেয়া আর আরাভীর অনেকদিন পরে দেখা হয়েছে। তাই ফ্রেয়া একটু একসাইটেড ছিলআরাভি ও কম একসাইটড ছিল না। ফ্রেয়া আরাভীর ঘাঁড় থেকে নামার সাথে সাথেই আরাভি তার পিছু নেয়। তাদের এই দৌড়ানো শেষ হয় আরাভীর বাসার সামনে গিয়ে। দুজনেই হাঁপিয়ে গিয়েছে। দৌড়াতে দৌড়াতে কখন যে তারা নয় তালায় পৌঁছে গেছে তারা খেয়াল ও করেনি। হঠাৎ তারা দেখলো সারা আপু দের গ্যাং আসছে। এরা সারা জীবন আরাভি আর ফ্রেয়ার পিছু লেগে এসেছে। আর আরাভি আর ফ্রেয়া তাদের সবসময় মাফ করে দিয়েছে। কিন্তু এবার আর না। আরাভি আর ফ্রেয়া ও ঐ গ্যাং কে ইগনোর করতে শুরু করে। বিষয়টি অন্য কেউ খেয়াল না করলেও সারা আপু খেয়াল করে।
সারা আপু : এই আরাভি শোনো।
আরাভি : জি আপু বলো।
সারা আপু : কখন এলে ?
আরাভি : এই তো এখনি।
সারা আপু : ও আচ্ছা ।
আরাভি : আপু আসলে এখণ না আমায় যেতে হবে । বাসায় অনেক কাজ আছে । আচ্ছা আমি এখন আসি?
সারা আপু : ওকে দেন। বাই। সি ইউ।
সি ইউ কথাটি আরাভি শুধু মুখে বলেছে। তার মনে অন্য কথা ছিল। সে মনে মনে বলছিল ''নেভার এভার সি ইউ লেটার। ''
ফ্রেয়া নিজের বাসায় চলে গেল। আরাভি বাসায় গিয়ে নিজের রুম সিলেক্ট করলআরাভির সকল জিনিসপত্ররুম এর মধ্যে ঢোকানো হলো। ঐ দিন আর তেমন কিছু হলো না। সবাই অনেক টায়ার্ড ছিল বলে তাড়াতাড়ি ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়ল

Friends ForeverWhere stories live. Discover now