পরের দিন কেন যেন ভোর ৪:০০ টা বাজে আরাভির ঘুম ভেঙে যায় । সে উঠে হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসে । হঠাৎ অরাভির মা তার রুমে আসে।
আরভির মা : কী রে মা ? তুই ঘুমাসনি সারা রাত ?
আরাভি : হ্যা। ঘুমিয়েছি তো মা কেনো?
আরাভির মা : না । এমনি । কখন উঠলি?
আরাভি : এইমাত্র উঠেছি। মুখ ধুয়ে মাত্র পড়তে বসলাম।
আরাভির মা : ও আচ্ছা । তাহলে তুই পড় । আমি তোর জন্য খাওয়ার কিছু পাঠাচ্ছি।
আরাভি : ওকে মা।
ও দিকে ফ্রেয়ার ও কেন যেন ৪:০০ / 8: ৩০ টার দিকে ঘুম ভেঙে যায় । সেও উঠে ফ্রেশ হয়ে পড়তে বসে । হঠাৎ তার মা তার রুমে আসে।
ফ্রেয়ার মা : কী করছিস মা ?
ফ্রেয়া : এইতো মা । হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল তাই উঠে পড়তে বসলাম। আজও তো সারাদিন বাইরে থাকতে হবে । তাই সময় পাবো না।
ফ্রেয়ার মা : হ্যা । এই তুই আরাভিকে একটা কল করে জিগ্যেস কর না যে ও কী করছে। ও যদি জেগে থাকে তাহলে তোরা গিয়ে গ্রুপ স্টাডি কর ।
ফ্রেয়া : হুমম ভালো আইডিয়া । দাঁড়াও আমি কল করছি।
ফ্রেয়া আরভিকে কল করল।
ফ্রেয়া : হাই । তুই কী ঘুমাচ্ছিলি?
আরাভি : না। মাত্র উঠলাম । কিছু বলবি?
ফ্রেয়া : হ্যা । আসলে মা বলছিল তুই যদি জেগে থাকিস তাহলে গ্রুপ স্টাডি করতে দুজন মিলে । করবি ?
আরাভি : হ্যা করা যায় । আচ্ছা তুই রাখ । আমি মামনির কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে তোকে কল করছি । ওকে?
ফ্ৰেয়া : ওকে।
আরাভি ফোনটা কেটে দিলো।
ফ্রেয়ার মা : হ্যা কী বলল?
ফ্রেয়া : বলল যে ফুপির সাথে কথা বলে জানাচ্ছে।
ফ্রেয়ার মা : আচ্ছা।
আরাভি তার মার কাছ থেকে পারমিশন নিতে গেল।
আরাভি : মামনি ও মামনি।
আরাভির মা : হ্যা মা বল।
আরাভি : মামনি আসলে ফ্রেয়া ফোন করেছিল।
আরভির মা : হুমম । বলল?
আর়াভি : বলল যে তুমি যদি পারমিশন দাও তাহলে আমি আর ফ্রেয়া মিলে গ্রুপ স্টাডি করব।
আরাভির মা : হ্যা । কর না । এতে পারমিশন নেওয়ার কী আছে ? আসতে বলনা ওকে। আমি তোদের দুজনের জন্য নাস্তা বানিয়ে দিচ্ছি । তুই গিয়ে ওকে কল করে আসতে বল।
আরাভি : থ্যাংক ইউ সোওওওও মাচ মামনি । আচ্ছা তাহলে আমি ওকে কল করে আসতে বলি।
আরাভির মা : হ্যা যা।
আরাভি দৌঁড়ে তার রুম এ গিয়ে ফ্রেয়াকে কল করে।
ফ্রেয়া : হ্যালো কী রে? কী বলল ফুপি ?
আরাভি : ফ্রেয়া আসলে.....
ফ্রেয়া : হুমম আসলে কী?
আরাভি : আসলে .......
ফ্রেয়া : ও আচ্ছা বুঝেছি পারমিশন দেয় নি তাইতো? ওকে নো প্রবলেম আমি মাকে বলে দিচ্ছি।
আরাভি : আরে দাঁড়া দাঁড়া । আসলে মা পারমিশন দিয়েছে । মামি কে কিছু বলতে হবে না । আমি মজা করছিলাম । তুই আমাদের বাসায় চলে আয়।
ফ্রেয়া : কী ? ফুপি পারমিশন দিয়েছে ?
আরাভি : হ্যা। তুই তাড়াতাড়ি আয় ।
ফ্রেয়া : হ্যা হ্যা । আসছি আসছি।
আরাভি ফোনটা কেটে দেয় । ফ্রেয়া তার মাকে বলে এক দৌঁড়ে আরাভির বাসায় চলে যায়। সাথে নিজের এক সেট জামা ও নিয়ে নেয়। আজ সে রেডি হতে বাসায় যাবে না। আরাভির বাসাতেই রেডি হয়ে তারা একসাথে বের হবে।
ফ্রেয়া আরাভির বাসায় পৌছে কলিং বেল এ চাপ দেওয়ার আগেই আরাভি দরজা খুলে দেয়।
ফ্রেয়া : কিরে? দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলি নাকি?
আরাভি : হ্যা । বাবা ঘুমাচ্ছে । শব্দ হলে শুধু শুধু বাবার ঘুমের ১২টা বাজবে। তাই আরকি এখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম
ফ্রেয়া : ও আচ্ছা ।
আরাভি : হ্যা এবার চল।
ফ্রেয়া : হ্যা চল চল।
তারা দুজনে রুমে গিয়ে নিচে একটা ছোটো টেবিল পেতে পড়তে বসল। কিছুক্ষনের মধ্যে ব্রেকফাস্ট চলে এলো। মজাদার হট চকোলেট আর স্যান্ডউইচ। ওরা তাড়াতাড়ি খাবারটা খেয়ে আবার পড়ায় মন দিল।
পড়াশোনা শেষ করে তারা দুজনে বেলা ১০টার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তারা ঠিক সময়ে বেরিয়ে যায় । বের হওয়ার সময় তারা খালামনির গাড়িটা চেয়ে নিল। তারা যেই গাড়িতে উঠতে যাবে ওমনি আরাভির ফোনে আরাভির মায়ের কল এবং ফ্রেয়ার ফোনে ফ্রেয়ার মায়ের কল এলো ।
আরাভি : হোয়াট আ কোয়েনসিডেন্স !
ফ্রেয়া : হুমম দুজনের মা ই এক সাথে। আচ্ছা এবার ফোনটা ধর। নাহলে কেটে যাবে।
আরাভি : হুমম।
আরাভির সাথে আরাভির মায়ের কথোপকথন।
আরাভি : হ্যালো । হ্যা মা বলো।
আরাভির মা : হ্যা । শোন না মা । একটা কাজ করবি প্লিজ ?
আরাভি : হ্যা বলোনা।
আরভির মা : আসলে বাসায় কিছু জিনিসপত্র কিনতে হবে । তোরা যেহেতু বাইরেই যাচ্ছিস তাহলে তোরাই আসার সময় নিয়ে আয়না।
আরাভি : ওকে । কোনো চিন্তা করো না। আমরা নিয়ে আসব। লিস্টটার ছবি তুলে পাঠিয়ে দাও।
আরাভি র মা : ওকে।
ফ্রেয়া আর তার মায়ের কথোপকথন।
ফ্রেয়া : হ্যালো । হ্যা মা বলো।
ফ্রেয়ার মা : হ্যা। শোন না মা । একটা কাজ করবি প্লিজ ?
ফ্রেয়া: হ্যা বলোনা।
ফ্রেয়ার মা : আসলে বাসায় কিছু জিনিসপত্র কিনতে হবে । তোরা যেহেতু বাইরেই যাচ্ছিস তাহলে তোরাই আসার সময় নিয়ে আয়না।
ফ্রেয়া : ওকে । কোনো চিন্তা করো না আমরা নিয়ে আসব । তুমি খালি লিস্টটার ছবি তুলে পাঠিয়ে দাও।
ফ্রেয়ার মা : ওকে।
দুজনেই ফোন কেটে দিয়ে গাড়িতে উঠে বসে।
ফ্রেয়া : এই এটা কী হলো রে ? দুজনের মা ই একসাথে কল দিল এবং একই কথা বলল।
আরাভি : হুমম । হাইলি সাশপিশিয়াস । আমার না কেনো জানি মনে হচ্ছে আজকে কিছু একটা হতে চলেছে । আচ্ছা বাদ দে। এখন চল।
ফ্রেয়া : হুমম চল।ফ্রেয়া ড্রাইভার আংকেল কে গাড়ি স্টার্ট দিতে বলল।
